সূর্যের আলো অনেক বেশি হলেও, পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে মহাকাশে অন্ধকার কেন?

প্রথমত, কোন একটি বস্তু কে আমরা তখন ই দেখি যখন ওই বস্তু এর এর উপরে আলোক রশ্নি এসে পড়ে।

এতে করে বস্তু এর সবচেয়ে ছোট অংশ ‘পরমাণু’ এবং আলোক রশ্নি এর সবচেয়ে ছোট অংশ ‘ফোটন’ এর মধ্যে মিথস্ক্রিয়া ঘটে,সহজ করে বোললে ‘পরমাণু’ এবং ‘ফোটন’ মিলে যায়। এই মিলিত অবস্থার কারণে যত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উৎপত্তি হয়,তার ভিত্তিতে আমরা বিভিন্ন রঙ দেখি। এভাবেই আমাদের দিনের বেলার আকাশের চাদোয়া নীল দেখায়। কারণ সূর্যের আলোক রশ্নি আমাদের পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের জলীয়বাষ্প, হিলিয়াম প্রভৃতির সাথে মিলে গিয়ে ওরকম একটা নীলাভ রঙের প্রতিফলন তৈরী করে।

কিন্তু রাতের আকাশে আমরা অন্ধকার আকাশ দেখতে পাই।

কারণ তখন ওই মাত্রায় আলো পাই না, যে মাত্রায় আলো দিনের বেলা সূর্যের কাছে থেকে পাই। সূর্য তখন পৃথিবীর বিপরীতে অবস্থান করে। এখন মহাশূন্যে কেনো আমরা অন্ধকার দেখি? এতো নক্ষত্র থাকবার পরেও। এই সমস্যাটিকে ‘Olber’s paradox’ বলা হয়। এর সবচেয়ে সহজ সমাধান এভাবে দেয়া যেতে পারে, তা হলো আজ পর্যন্ত আমরা যতো আলো দেখি এর সব কিছুর যাত্রা শুরু হয়েছে ১৫.২ বিলিয়ন বছর আগে। হয়তো এর বাইরে এমন কোন শক্তিশালী আলো আছে যা এখনো আমাদের কে রীচ কোরতে পারেনি। অথবা রাতের আকাশেই আরো এমন কিছু নক্ষত্র বা তারা থাকতে পারে যাদের আলোক তীব্রতা অনেক হবার পরেও এতো দূর থেকে যাত্রা করছে যে পৃথিবী পর্যন্ত পৌছাতে পৌছাতে তার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বিচ্যুতি ঘটছে।

অথবা, এমন ও হতে পারে-আমাদের দৃশ্যমান সৃষ্টিজগত এর বাইরে হিউজ পরিমাণ সৃষ্টি আছে যেগুলো দৃশ্যমান নয়। অর্থাৎ ‘ডার্ক ম্যাটার’ বলা হয় যাদের। ‘ডার্ক ম্যাটার’ গুলোর গ্র‍্যাভিটি ফীল্ড অসম্ভব রকম এর তীব্র। এদের সাথে আলোর সবচেয়ে ক্ষুদ্রকণা ‘ফোটন’ মিথস্ক্রিয়া করতে পারেনা। এজন্যই অনেক তীব্র আলো দৃষ্টির অগোচরে থেকে যেতে পারে। ঘটনা যাই হোক এখান থেকে জীবন সম্পর্কে, সৃষ্টি জগত সম্পর্কে যুগান্তকারী জ্ঞান লাভ করার তীব্র সম্ভাবনা আছে।

 

Syed Mosharaf Hossain
Syed Mosharaf Hossain
Hi, I am Syed Mosharaf Hossain, popularly known as Deep in my friends’ circle. I am a writer, author ,educationist and an researcher . I enjoy writing things that are on popular science, applied mathematics, environment, history, invention news , modern technology culture and society in Bengali in order to popularize science among readers in the regional language. Gold medalist, at Govt. of West Bengal district and state level Student-Youth science research competition 2015 & Inventor of women safety Shoe, Study- Engineering student

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

Latest Articles