পরিবেশকে, পরিবেশ দূষণ থেকে বাঁচানোর জন্য গবেষকরা কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে(Co2) রূপান্তরিত করলেন প্লাস্টিক এ, পড়ুন বিস্তারিত

Smart Update24,By Swastika & Deep


পরিবেশকে ,পরিবেশ দূষণ থেকে বাঁচানোর জন্য গবেষকরা কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে(Co2) রূপান্তরিত করলেন প্লাস্টিক এ, পড়ুন বিস্তারিত

চিন্তা করে দেখুন কুখ্যাত গ্রীনহাউজ গ্যাস কার্বন-ডাই-অক্সাইড কে  কোন  উপকরণে রুপান্তরিত করা যেতো তাহলে কতই না ভালো হতো! তাহলে আমাদের বায়ুমণ্ডলও অনেক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেত । টরন্টো বিশ্ববিদ্যালের টেড সার্জেন্ট গ্রুপ এর নেতৃত্বে একদল গবেষক এর গবেষণার ফলাফল আমাদের এমনই এক সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে। তারা অতি দক্ষতার সাথে কানাডার অলোর উৎস ( Canadian Light Source) সাহায্যে নতুন এক প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে এমন একটি প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে ইথিলিন এ রুপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছেন।


আমরা জানি যে, আমরা যে প্লাস্টিক টি ব্যবহার করি সেটা ইথিলিন দিয়ে তৈরি অর্থাৎ ইথিলিন দিয়ে আমরা আমাদের ব্যবহৃত সবচেয়ে প্লাস্টিক টি আমরা পেতে পারি । পুরো বিশ্বে বার্ষিক প্রায় 80 মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদন হয়। এই গবেষণার প্রধান গবেষক ফিল ডে লুনা বলেন এরকম ধরনের পরীক্ষা পুরো বিশ্বে কথা হয়নি এবং আমরাই প্রথম পরীক্ষা করেছি এবং পরীক্ষার ফল খুব ভালো পেয়েছি ।”
তারা Co2 কে একটি অনুঘটকের সাহায্যে বৈদুতিক কারেন্ট এবং একটি বিক্রিয়ার মাধ্যমে ভিন্ন একটি পদার্থে পরিণত করে।


রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতি বাহ্যিক কোন পদার্থের উপস্থিতিতে বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনাকে অণুঘটন বলে এবং ঐ বাহ্যিক পদার্থকে অণুঘটক বলে। অণুঘটকের উপস্থিতিতে বিক্রিয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় শক্তির পরিমাণ কমে যায় এবং ফলস্বরূপ বিক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি পায়।


এধরণের বিক্রিয়া ঘটাতে অনেক ধাতুই অণুঘটক হিসেবে কাজ করে, যেমন সোনা, রুপা বা দস্তা কার্বন মনোক্সাইড তৈরী করতে সাহায্য করে। কিন্তু পলিথিন প্লাস্টিক তৈরীর মূল উপাদান কপারই কেবলমাত্র ইথিলিন উৎপাদন করতে সাহায্য করতে পারে। ডে লুনা বলেন:- “কপার একটি জাদুকরী ধাতু। এটা জাদুকরী এই কারণে যে এটি মিথেন, ইথিন এবং ইথিলিন এর মত বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করতে পারে, কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন” তিনি আরো বলেন :- “আমি মনে করি ভবিষ্যতে আমরা এমন আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের বর্জ্য পদার্থ গুলিকে পূর্ণ ব্যবহার করতে সক্ষম হব। এটা আমাদের কাছে উত্তেজনাপূর্ণ বিষয় যে, আমরা ভবিষ্যতের জ্বালানি চাহিদা পূরণের জন্য নতুন এবং টেকসই উপায়গুলির উন্নয়ন সাধনে কাজ করছি।


আমাদের লেখা আপনার কেমন লাগছে ও আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানান । আপনার বন্ধুদের কাছে পোস্টটি পৌঁছে দিতে দয়া করে শেয়ার করুন । বিজ্ঞান বিষয়ে আরও পোস্ট পড়তে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক করুন । পুরো পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

Yours Smart Update24 Team
Yours Smart Update24 Teamhttps://sdsmartupdate24.in
বাংলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে Smart Update24।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

Latest Articles