কী অদ্ভুত স্টেশনের নাম “নোয়াদার ঢাল” নামের পেছনের গল্প শুনুন আজ
Noadar Dhal station : সপ্তাহান্তে বেড়াতে যাওয়ার কথা উঠলে বাঙালির অন্যতম প্রিয় জায়গা বোলপুর- শান্তিনিকেতন। বছরে দু’তিনবার তো অনেকেই যান বোধহয়, তাই না। কলকাতা থেকে ট্রেনে ঘন্টা তিনেক… বর্ধমান পার হলেই ট্রেনের জানলা দিয়ে বাইরের ধানক্ষেতের দিকে তাকিয়ে আপনার মন ভালো হয়ে যায়.. মনে হয় এই তো আর কিছুক্ষণ। এরপর থেকে কিন্তু আপনি নজর রাখেন কোন কোন স্টেশন পার হয়ে গেল। আর ঠিক এই সময় আপনার চোখে পড়ে ছোট্ট ছোট্ট কয়েকটা স্টেশন… ‘ঝাপটের ঢাল, ‘নোয়াদার ঢাল (Noadar Dhal station), ‘পিচকুড়ির ঢাল’… আর হয়তো দেখবেন আপনার উলটো দিকের সিটে বসে থাকা যে বয়স্ক দম্পতি তারাও তখন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন-
- কী অদ্ভুত নাম স্টেশনগুলোর তাই না?
- বোধহয় ঢালু জমি… সেই জন্য হয়তো এরকম নাম।
- হ্যাঁ, তাইই হবে বোধহয়। আপনার মনেও একই প্রশ্ন জাগে হয়তো। আচ্ছা সত্যি করে বলুন তো, সেই সঙ্গে কখনও কি এটাও মনে হয় না- যে… নামতে পারলে বেশ হত।
এই যে ধূ-ধূ ধানক্ষেতের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট্ট স্টেশন… ফাঁকা প্ল্যাটফর্ম… মনে হয় না জানতে পারলে বেশ হতো যে কি আছে ওখানে? আক্ষরিক অর্থেই জায়গাটার সম্পর্কে কোথাও তেমন ভাবে না আছে কোনও ছবি না আছে কিছু… আছে শুধু এক মজার গল্প’…. নোয়াদার ঢাল’-এর নামের পেছনের গল্প।
সাহেবি আমল… ঝাপটের ঢাল আর পিচকুড়ির ঢাল এই দুই স্টেশনের মাঝে আর একটি নতুন স্টেশন হবে… তা নতুন স্টেশনের নাম কী হবে? কেরাণীবাবু সাহেবকে গিয়ে জিজ্ঞেস করল। সাহেব ইতিমধ্যেই এত ঢাল নিয়ে বিরক্ত। নতুন স্টেশনের নাম রাখার কথায় প্রথমেই বললেন, “anything, but NO OTHER DHAL please”। কেরাণীবাবুটি নিজের মতো করে বুঝে নিলো যা বোঝার…। স্টেশনের নাম হয়ে গেল… “নোয়াদার ঢাল।” প্লিজ এই গল্পের সত্যি মিথ্যে বিচার করতে যাবেন না। গল্প হল গল্প। তার সত্যি মিথ্যে বিচার করতে গেলে গল্পের মজাটাই যে থাকে না আর।